সেবার পদ্ধতিঃ
(ক) সুবিধাভোগী কৃষক/ কৃষকগ্রুপ সরাসরি উপজেলার ইউনিট দপ্তরে সেচ সুবিধা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।
(খ) ইউনিট দপ্তর আবেদনটি সরেজমিনে যাচাই করে উপজেলা সেচ কমিটিতে উপস্থাপন করেন।
(গ) উপজেলা সেচ কমিটি সুপারিশে কৃষি কাজে সেচের পানি ব্যবহারের লক্ষ্যে বিএডিসি কর্তৃক স্কীম ম্যানেজারদের দাখিলকৃত স্কীমের ভিত্তিতে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের জন্য গভীর নলকূপ, ভূ-পরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য শক্তিচালিত পাম্প ও ভাসমান পাম্প সরবরাহ দেয়া হয়।
(ঘ) উপজেলা সেচ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা দপ্তর/প্রকল্প দপ্তর কার্যক্রম বাস্তবায়ন গ্রহণ করেন।
(ঙ) কার্যক্রম বাস্তবায়নের সমস্যা হলে জেলা সেচ কমিটিতে আলোচনা হয় এবং সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করেন।
(চ) জেলার আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো-ইরিগেশন প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চালু আছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সেচ অবকাঠামো স্লুইচ গেইট, সাইফুন, রেগুলেটর,পাকা সেচনালা, খাল খনন করে আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্গত কুলিং ওয়াটার সেচ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
(ছ) প্রকল্পের ডিপিপির সংস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে বৃক্ষরোপন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভুমিকা রাখাছে।
(জ) পুরাতন গভীর নলকূপসমূহ গ্রুপ ম্যানেজারদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ও আবেদনের প্রেক্ষিতে নলকূপসমূহ বিদ্যুতায়ন, বারিড পাইপ সেচনালা নির্মাণ ও সচলকরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
(ঝ) কর্মসূচির মাধ্যমে জনপ্রতিনিধীদের সুপারিশে বিভিন্ন সেচ অবকাঠামো নির্মাণ ও খাল পুন: খননের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সেচ কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কৃষক/গ্রুপ ম্যানেজারদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণের ফলে আধুনিক চাষাবাদে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে অত্র জেলায় উপরোক্ত কর্মসূচির ন্যায় আরো ০২ (দুই) টি কর্মসূচি চলমান আছে। উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে সেচ সুবিধা আরো বৃদ্ধি পাবে। সামগ্রিক ভাবে ফসলের উন্নয়ন সাধিত হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস